যশোরের চৌগাছা উপজেলা এবং ঝিনাইদাহের উপজেলা কালিগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর। মিলিত তিনটি উপজেলার শেষ সীমানা। উল্লেখ্য যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বরুপপুর, শিশুতলা চাকলা কোমরপুর এবং ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলাবাড়িয়া, এলাঙ্গী। কালিগঞ্জ উপজেলার ধলা দাদপুর বালিয়াডাঙ্গা প্রায় ১০ গ্রাম মিলিত মধ্যবর্তী স্থানে বেশ কয়েকটি মাঠে নষ্ট হয়েছে ইরি ধানসহ বিভিন্ন আবাদি ফসল, এত হতাশ কৃষকেরা।
গত সোমবার ফাগুন, চৈত্র এবং বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত খরা এবং প্রচন্ড রোদ্র তাপের পর চারিদিকের আকাশে কালো মেঘ এবং শান্তির বাতাস শুরু হলেও পরক্ষণে কালবৈশাখী ঝড়ে রূপ নেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে নষ্ট হয় প্রায় দুই হাজার বিঘা সোনালী বর্ণের পাকা ইরি ধান ও বিভিন্ন আবাদি ফসলসহ হাজার হাজার বিঘার ঝরেছে আম।
কৃষকেরা বলেন, এক বিঘা ইরি ধান করতে আমাদের খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আমাদের সব শেষ হয়ে গেল ধান কাটার মুখে এসে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে আমরা কখনো ভাবিনি।
ডিপ টিউবওয়েল ও কৃষক বকুল বিশ্বাস বলেন, আমার মোটরের পাশে ধানের শীষে কোন ধান নেই শিলা বৃষ্টি পড়ে সব ধান ঝরে গেছে, এখন মাত্র সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাত্র নাড়া, যাহা কাঁটলে বিঘা প্রতি ৫ মন করে ধানও পাওয়া যাবে না। যেখানে আমার নিজেরই ১৫ বিঘা ধান সেখানে হয় তো পাওয়া যাবে ৫০ মন।
টিএইচ